দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাসের কথা ভাবলেই প্রথমেই মাথায় আসে বাচ্চাদের কথা। তবে শিশুদের মধ্যে তো নখ কাটার অভ্যাস থাকেই, এছাড়া বড়দের মধ্যেও কম-বেশি অনেকের মধ্যেই এমন অভ্যাস দেখা যায়। উত্তেজনার পারদ যখনই মাত্রা ছাড়ায়, তখনই হাত নিজে থেকেই যেন উঠে আসে মুখের কাছে। দাঁত দিয়ে নখ কাটার এই নিরীহ অভ্যাসটি ব্যক্তি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে সাহায্য করে।
এ বিষয়ে এবার জেনে নেয়া যাক জ্যোতিষশাস্ত্রের ব্যাখ্যা-
১. কোনো ব্যক্তি অতিরিক্ত মানসিক চাপের মধ্যে থাকলে তার অবচেতনেই তৈরি হয় দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাস। এই অভ্যাস ওই ব্যক্তির মানসিক চাপ ও তা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতাকে নির্দেশ করে।
২. জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, সৃষ্টিশীল মানুষদের ক্ষেত্রে তার অবচেতন মন বা কল্পনাশক্তি অধিক প্রাধান্য পায়। তাই সৃষ্টিশীল জাতক বা জাতিকাদের মধ্যেই দাঁত দিয়ে নখ কাটার প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যায়।
৩. যে সকল জাতক বা জাতিকারা খুঁতখুঁতে স্বভাবের হয়ে থাকেন তাদের মধ্যে দাঁত দিয়ে নখ কাটার প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যায়। এই সমস্ত জাতক বা জাতিকারা কাজের মধ্যে কোনো খুঁত বা অসম্পূর্ণ কাজ একেবারেই পছন্দ করেন না।
৪. যাদের মধ্যে ধৈর্যের অভাব রয়েছে, যারা খুবই অস্থির মতি, যারা যে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রেই দ্বিধাগ্রস্থ হয়ে পড়েন তাদের মধ্যেও দাঁত দিয়ে নখ কাটার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। অনেক সময় কাজে একঘেঁয়েমি বোধ করার ফলেও দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাস তৈরি হয়।
উল্লেখিত জ্যোতিষশাস্ত্রের ব্যাখ্যাগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মনোবিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যার সঙ্গে মিল রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ৮:৪২ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২০
রয়াল বেঙ্গাল নিউজ.কম | Bhuiyan Akash
Development by: webnewsdesign.com